Tuesday 23 November 2021

মধুময়-- সোনালি মুখার্জি

মধুময়

সোনালী মুখার্জি


স্বপ্ন তোমায় দিলাম লিখে

রেখো যত্ন করে, 

ভালোবাসা দিলাম তোমায়

নিও হৃদয় ভরে l

তোমার সাথেই পথ চলা, 

তোমায় নিয়েই জীবন, 

তোমায় নিয়েই স্বপ্ন দেখা, 

দিয়েছি তোমায় মন l

মিষ্টি হাসি মুখটা তোমার

দেখতে ভালো লাগে, 

তাই তো শুধু তোমার কাছে

হারতে ভালো লাগে l

কবি--মহুয়া বিশ্বাস

কবি
----------------
মহুয়া বিশ্বাস

হে   কবি   তোমার   রবি
আজও  যায় নি অস্তাচলে।
কলমের বাণী যাবে না থামি
অগ্নিবীণার সুরে দূর হতে বহুদূরে
ঝংকৃত হবে অনাগত কালের...
অমৃতবাণী।
নিরবে নিভৃতে বর্তমান-ভবিষ‍্যতে
রয়ে যাবে স্মৃতির কোঠরে কোঠরে
আদি- অনন্তকালের উষ্ণবার্তা।
স্তব্ধ জীবন,মলিন মন বিশুদ্ধ হবে
দূষিত কর্দমাক্ত জনজীবন
 ক্ষয়ে যাবে....
শীতল তরু ছায়াতলে....
স্নিগ্ধ নদীবক্ষে...
ঘিরে রবে উজ্জ্বল আলোক পাথারে।
রক্তে রক্তে শিরায় -উপশিরায়
স্পন্দনে-বন্ধনে সমুদ্রের গভীরতায়
অম্বরমাঝে অট্টহাসির গর্জনে,তর্জনে...
প্রতিধ্বনিত হবে....
 মহাজীবনের জয়ধ্বনি।।

----------------------------

Monday 22 November 2021

তৈমুর খানের দুটি কবিতা--

তৈমুর খানের দুটি কবিতা--

যুদ্ধ

  💚

 শরীরে শরীর নেই, শূন্যতায় ভরা

 মন কোথাও উড়ে গেছে, যায়নিকো ধরা


 চারিপাশে কোলাহল ব্যর্থ শিকারির

 ষড়রিপু ঘিরে ধরে ছুঁড়ে যাচ্ছে তির


 রক্ত কি দেখতে পাও? কোথাও রক্ত আছে?

 নায়ক-নায়িকা মায়া, বসেছে গল্পের কাছে


 কিছুতো ক্ষরণ হচ্ছে, অলীক বাতাসে মিশছে শ্বাস

 নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে শালীনতা, অন্ধকারে তারও সর্বনাশ


 আলোর লিঙ্গরা এসে বিদ্ধ করছে কাকে?

 কেউ কিছু বলছে না তো! মাছ ঢাকছে শাকে!


 দূর থেকে ঢেউ আসছে, কাঁপছি অন্তর্বর্তী উত্তাপে

 ক্রমশই ভিজে যাচ্ছি; ঘাম জমছে তরোয়ালের খাপে।


মনুষ্যপাখি

       💚

 রাত এলেই বৃক্ষ হয়ে যাই 

 অন্ধকারে ডাকি, চুম্বন পাঠাই

 কত ফুল ফোটে, পল্লবে পল্লবে ধ্বনি

 নীরবতাগুলি রোজ করে কানাকানি


তুমি খোঁপা বাঁধো আর সমাধি ভেদ করে উঠে দাঁড়াও

আর সাদা ডানায় জ্যোৎস্নার বক হয়ে উড়ে-উড়ে নামো

এখানে কাঁঠাল বন, হরিতকী বনে 

কিশোরীবেলার ছুটোছুটি জেগে ওঠে     

যুবতী ঘ্রাণের আলোড়নে আমিও শিহরন পাই


 দ্যাখো দ্যাখো বৃক্ষ আজ আমি

 তুমিও প্রবল মনুষ্যপাখি মৃত্যুর পরও মৃত্যুহীন

 নিশির প্রহর জুড়ে অরণ্য কাঁপাও…

Sunday 21 November 2021

ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা--

ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা--

মুহূর্তের জন্ম

একটা মুহূর্ত জন্মাল

মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে।

এমনি করে জন্ম হচ্ছে

প্রতিদিন শত শত মুহূর্তের।

সব মুহূর্তরা হারিয়ে যাচ্ছে

তলিয়ে যাচ্ছে মহাকালের গর্ভে।

 
এক একটা মুহূর্তকে

আটকে রাখছে মহাকাল।

ইতিহাস সৃষ্টি করার অভিপ্রায়ে।


অনিদ্রা

একটা রাত যদি তুমি আমার সঙ্গে কাটাও

আমি পাগল হয়ে যাব।

একটা রাত যদি তুমি না আস আমার কাছে

আমি স্বপ্ন দেখে যাব।

তোমার শত্রুকে যদি পাঠাও একদিন

আমি বন্ধু হয়ে যাব।

তুমি যদি না আস আর কোনো দিন

আমি ধন্য হয়ে যাব।  

নববর্ষের কামনা

 উড়ায়ে দাও সব কিছু যা আছে পুরাতন,

সব হিংসা, দ্বেষ, ক্রোধ কর বর্জন।

এস, এস ধরি মোরা নতুনের পথ,

ভালবাসা দিয়ে গড়ি স্বপ্নের রথ।

 মানুষে মানুষে ভেদ কর নাকো আর,

পোশাক-আশাক যা হোক

 দেখ হৃদয়টা তার।

 ধর্মে থাক মতভেদ

কর্মে না চাই,

 মানুষ আমরা সব

মনে ভাই ভাই।

ঘুচে যাক মলিনতা

আবিলতা যাক,

মানবিকতা দিয়ে লেখা

স্মৃতিটুকু থাক।


Saturday 20 November 2021

সম্পাদকীয়--

সম্পাদকীয়-- 

অনিবার্য কারণবশত এবারের, স্বরধ্বনি প্রকাশে বিলম্ব ঘটলো l ভাষায় কিংবা কাব্যে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলেও বাস্তব কখনো ভয়ঙ্কর ও কঠোর হয় l পরিস্থিতি মানুষকে সজাগ করে দেয়, জানিয়ে দেয়, পৃথিবীতে আমরা কতটা নশ্বর l আজ থাকা কাল না থাকার অনুভব মানুষকে প্রচন্ডভাবে নাড়া দিয়ে যায় l দুঃখ ব্যথা যখন হৃদয়ের নিগঢে থাকে তাকে ভাবনার, তাড়না তাড়নায় অনুভব করতে পারি মাত্র, আর অগ্নিকুন্ডে ঝাঁপ দিলে বাস্তব পুড়ে যাওয়ার যন্ত্রণা আমরা অনুভব করতে পারি l 

যাক এ সব সুখ দুঃখ ব্যথার কথা l এ সংখ্যা অনেকটাই অগোছালো হয়ে থাকবে, সময় ও , মনের পরিধির বাইরে এসে জোর করে কোন কাজই পূর্ণত হয় না l লেখক ও পাঠক বর্গের কাছে তাই আমাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি l সবশেষে প্রতিবারের মত পাঠক ও লেখকবর্গকে আমাদের স্বনির্বন্ধ নুরোধ জানাই, আপনারা পড়ুন আমাদের তথা আপনাদের স্বরধ্বনি ব্লগ পত্রিকা আর আপনাদের ভালো লাগা মন্দ লাগার কথা অকপটে প্রকাশ করুন l নিবেদন ইতি -- সম্পাদকমন্ডলী, স্বরধ্বনি ব্লগ পত্রিকা l

সহঃসম্পাদকের কলমে: 

কাহার সময় সমান নাহি যায়। সময় তিনটি শব্দর, কিন্তু এটাই কখনো করে তোলে মনকে দুখের আবার কখনো আনন্দে ভরে দেয়। সেই সময়কে ধরেই চলে কাজ। আমাদের কাজ মানুষের কলমের কাজ মানুষের সামনে তুলে ধরা। সেই কলমেই সৃষ্টি হয় কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আর কতো কিছু।-- শমিত কর্মকার l

সহ সম্পাদকের কলমে--

প্রকৃতির  স্বাভাবিক নিয়মেই দিন শেষে রাত হয়, আর রাতের পর দিন  ।  দিন মাস বছরের আবর্তনে ঘুরে ফিরে আসে এক ঋতুর পর অন্য ঋতু। সেই আবর্তনের নিরিখেই  হেমন্তের আগমন নিয়ম মেনেই।

হেমন্তের বেলা বড়োই স্পর্শ কাতর, রোদের তাপেও শীতের পূর্বাভাস হিসেবে হিমেল বাতাসের উপস্থিতি। তাও বা  নাহয় সয়ে নেওয়া যায় কিন্তু হেমন্তের বিকেলটা যে  বড়ো তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়, রেখে যায় একটা মন কেমনের অনুভূতির রেশ।

বিশেষ করে এই এত উৎসব মুখরতার দিন গুলির পরে পরেই কেমন যেন একটা ফুরিয়ে যাওয়ার অনুভূতি !হঠাৎ করেই বুকের ভেতর গুনগুনিয়ে ওঠে .......

"আর নাইরে বেলা, নামলো ছায়া ধরণীতে

এখন চলরে ঘাটে কলসখানি ভরে নিতে। "

শূণ্য কলসটুকু ভরে নিতেই তো হেমন্তে ফসল কেটে ঘরে তোলার পালা। 

হেমন্তের দ্রুত ঢলে পড়া জীর্ণ বেলা শেষে সন্ধ্যা নেমে আসে, একাকীত্বের নির্জনতায় । আকাশ প্রদীপের স্তিমিত আলোর পানে চোখ মেলে স্মৃতিগুলি ছুঁতে চায় মন আর স্মৃতির সলিলে অবগাহনের ফলে একটি একটি করে তারা ফোটার মতো ফুটে ওঠে সৃজনশীল মনের মণি মুক্তোগুলি। সেই মণিমুক্তো দিয়েই গড়ে তোলা আজকের স্বরধ্বনি ব্লগের পাতাখানি।-- সাবিত্রী দাস


শম্পা বণিকের কবিতা--

শম্পা বণিকের কবিতা--
রোড শো ২০২১
------------------------
আলাদিনের চিরাগ হাতে ওই আসে গণতন্ত্র
রামধনু পায়রা উড়িয়ে......
কালো কালো মাথাগুলো কালোজাম মনে হয়
কথার ভাইরাস গলা বেয়ে নেমে
কাদার লোহিত স্রোতে হাড়হিম নর্দমার
রোড শো মিলিয়ে গেলে
রাস্তাটা ঝিমায় সন্ধ্যায়

 ওই ওরা আসে অন্ধকারে
প্লাস্টিক মোড়া চুপি চুপি মিছিলে
আবার ...আবার...আবার....
আরও ...আরও...
রোড শো করতে করতে চলে যায়
পরিচয়হীন
অশ্রুহীন
বর্ণহীন
পতাকা হীন

পথ কষে চলে, আজ কাল পরশুর অঙ্ক.......

------------------------------
২)
এসো ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকি 
-------------------------------
অ্যাম্বুলেন্সের আর্তনাদে বালিশ চাপা দেয় কান
চোখ খুললেই প্লাস্টিক মোড়া এ কোন ন্যাড়াপোড়া.......
আগুন ভেজে নিজের কান্নায়
বারুদ ছড়ানো মাঠেঘাটে
মিউজিক্যাল চেয়ারে ঘোরে মানবতার শব
তবু তোমার আমার ঘরে ঘরে উৎসব !
থামো
এসো পালন করি
দু মিনিট নীরবতা.......
মানুষে মানুষে এসো ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকি
শিরদাঁড়া খুঁজে পাবই পাব ঠিক
থামো
এসো পালন করি এবার
দু মিনিট নীরবতা......

----------------------------

৩)
তবু ফিরে যেতে হয়
------------------
গতরাতে যে মেয়েটার স্বপ্নগুলো জলছবি হয়ে গেলো
সেও একদিন কাগজওয়ালার কাঁধে তুলে দেবে সব
বিষন্ন ভোর কেটে গেলে, নিয়মে........
আলোয় ফেরাই জীবনের নিয়তি
বুঝেছিলাম সেদিন যেদিন এক কাকভোরে
ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেয়ে আকাশের ক্যানভাসে 
লেগেছিল তেতো বাৎসল্যের রং
ওরা জল ঢেলে তেতো কেটেই ফিরেছিল ঘরে
বিষন্ন ভোর ছুঁয়ে নেমেছিল আলোর সকাল, নিয়মে.......

সামিয়ানা উড়ে গেলেও
এভাবেই ভেজা ভোরেরা আসে দেখেছি প্রতিবার
তবু ফিরে যেতে হয় .....
পৃথিবীর আলোর আয়োজনে ।
ফিরে যেতে হয় কবির গানে........
"আরও বেদনা আরও বেদনা প্রভু দাও মোরে আরও চেতনা"........
আরও আলো আরও আলো এই নয়নে প্রভু ঢালো"

................................

জলের আল্পনা..শ‍্যামাপ্রসাদ সরকার

জলের আল্পনা
....................
শ‍্যামাপ্রসাদ সরকার


চোখের জলের গল্প লেখো 
ভরিয়ে অনেক পাতা,
রইবে তবু আসমানী মন,
আর তোমার খোলা ছাতা!

বাসলে ভালো নিয়ম ভেঙে
ভীষণ ভয়ে ভীত,
একটু আড়াল হাজার চোখে,
বড়ই যে গর্হিত.....

মুখ নামিয়ে, পাশ কাটিয়ে,
গেলেই যাওয়া যেত,
ভালবাসাই অবুঝ বড়,
জানোই,  তুমি সে তো!

নোনতা জলের স্বাদ যে দারুণ,
বুঝবে জানি শেষ কালে,
ভালবাসাই নামবে যখন,
উপচে দু'চোখ, দুই গালে.....

...............

মধুময়-- সোনালি মুখার্জি

মধুময় সোনালী মুখার্জি স্বপ্ন তোমায় দিলাম লিখে রেখো যত্ন করে,  ভালোবাসা দিলাম তোমায় নিও হৃদয় ভরে l তোমার সাথেই পথ চলা,  তোমায...